Saturday, 30 May 2020

স্মৃতিসারনী


স্মৃতিসারনী বা মেমরীস্ট্রিম বলে কিছু আমাদের জানা নেই । এনিয়ে কোন কিতাবেও কোন কথা লেখা হয় নাই । কিন্তু মনে করুন, সেই রকম কিছু আছে, যে পথ দিয়ে আপনি একটা কথা ভাবতে ভাবতে গেলেন । ফিরে আসার সময় সেই কথাগুলোর পুনরাবৃত্তি করলেন । এবং অন্য কথায় উপনীত হলেন, সেই শব্দ, সময়, আলো, বাতাস, মানবিক সমস্ত ভাবনাগুলি অন্য যে পথে যেতে পারতো, তার একটা নেটওয়ার্ক বা জাল বুনে ফেললেন । অর্থাৎ, অনুষঙ্গকে যদি লিখে ফেলা যায় এবং তার ক্রমানুসারেও লিখে ফেলা যায়, এবং তা যদি রিপ্লে করা যায় ?

কতটা মনে রাখা যায়, কতটা দূর , সেই হলো মানব মনের কাছে একটা সীমাবদ্ধতা । একটা এক রৈখিক পথ ধর যদি আমরা যদি সরাসরি যাই, একজন গড়পড়তা মানুষ, পর পর সাতটি সংখ্যা মনে রাখতে পারে । যদি, ব্যতিক্রমকে ছেড়ে দিয়ে এটাই বেঞ্চ-মার্ক ধরি, একটি শব্দকে, তার পরের শব্দকে লাইনে রেখে,  একনজর দেখে সাতটি শব্দকে মনে রাখা সম্ভব । সেই শব্দাবলীর আনুষঙ্গিক রূপ, রস গন্ধ ব্যতিরেকে । যদি রূপরসগন্ধকে গুরুত্ব দিয়ে মনে রাখতে হয়, সেইগুলি একজন এভারেজ মানুষ সাতটি শব্দের পর গুলিয়ে ফেলবে । অর্থাৎ যদি মুখস্থ না করা হয়, সে ভুলে যাবে । এইখানে অরিয়েন্টেশন বা অন্তর্সজ্জা পদ্ধতি কাজে আসে । যদি শব্দাবলীর সঙ্গে কিছু আনুষঙ্গিক কাহিনী যোগ করি, অরিয়েন্টেশন হতে থাকে । একটা কাঁচা লোহা কে ক্রমাগত চুম্বক দিয়ে ঘসতে ঘসতে, লোহাটি যে ভাবে চুম্বক হয়ে যায় ।

এই ভাবে কতটা মনে রাখা সম্ভব । আর তা ছাড়া, উপপাদ্যের প্রথমেই আমরা ধরে নিয়েছে, মূল সমস্যাটি একরৈখিক । সুতরাং, বহুরৈখিক বা ইউনিডাইরেকশনের কথা তো এখানে উত্থাপন করাই যাচ্ছে না । একরৈখিক নিয়েই যদি আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখি, মানবমনের এইরকম সীমানা কে পরিবর্ধন করার কথা একটু বলা যায় কি ?


No comments:

Post a Comment