স্মৃতিসারনী বা মেমরীস্ট্রিম বলে কিছু আমাদের জানা নেই । এনিয়ে কোন কিতাবেও কোন
কথা লেখা হয় নাই । কিন্তু মনে করুন, সেই রকম কিছু আছে, যে পথ দিয়ে আপনি একটা কথা ভাবতে
ভাবতে গেলেন । ফিরে আসার সময় সেই কথাগুলোর পুনরাবৃত্তি করলেন । এবং অন্য কথায় উপনীত
হলেন, সেই শব্দ, সময়, আলো, বাতাস, মানবিক সমস্ত ভাবনাগুলি অন্য যে পথে যেতে পারতো,
তার একটা নেটওয়ার্ক বা জাল বুনে ফেললেন । অর্থাৎ, অনুষঙ্গকে যদি লিখে ফেলা যায় এবং
তার ক্রমানুসারেও লিখে ফেলা যায়, এবং তা যদি রিপ্লে করা যায় ?
কতটা মনে রাখা যায়, কতটা দূর , সেই হলো মানব মনের কাছে একটা সীমাবদ্ধতা । একটা
এক রৈখিক পথ ধর যদি আমরা যদি সরাসরি যাই, একজন গড়পড়তা মানুষ, পর পর সাতটি সংখ্যা মনে
রাখতে পারে । যদি, ব্যতিক্রমকে ছেড়ে দিয়ে এটাই বেঞ্চ-মার্ক ধরি, একটি শব্দকে, তার পরের
শব্দকে লাইনে রেখে, একনজর দেখে সাতটি শব্দকে
মনে রাখা সম্ভব । সেই শব্দাবলীর আনুষঙ্গিক রূপ, রস গন্ধ ব্যতিরেকে । যদি রূপরসগন্ধকে
গুরুত্ব দিয়ে মনে রাখতে হয়, সেইগুলি একজন এভারেজ মানুষ সাতটি শব্দের পর গুলিয়ে ফেলবে
। অর্থাৎ যদি মুখস্থ না করা হয়, সে ভুলে যাবে । এইখানে অরিয়েন্টেশন বা অন্তর্সজ্জা
পদ্ধতি কাজে আসে । যদি শব্দাবলীর সঙ্গে কিছু আনুষঙ্গিক কাহিনী যোগ করি, অরিয়েন্টেশন
হতে থাকে । একটা কাঁচা লোহা কে ক্রমাগত চুম্বক দিয়ে ঘসতে ঘসতে, লোহাটি যে ভাবে চুম্বক
হয়ে যায় ।
এই ভাবে কতটা মনে রাখা সম্ভব । আর তা ছাড়া, উপপাদ্যের প্রথমেই আমরা ধরে নিয়েছে,
মূল সমস্যাটি একরৈখিক । সুতরাং, বহুরৈখিক বা ইউনিডাইরেকশনের কথা তো এখানে উত্থাপন করাই
যাচ্ছে না । একরৈখিক নিয়েই যদি আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখি, মানবমনের এইরকম সীমানা কে পরিবর্ধন
করার কথা একটু বলা যায় কি ?
No comments:
Post a Comment