কমলিকা, ভাবেন জীবনানন্দের রূপসী বাংলার কথা । অ, আ, ক, খ, ১, ২ । কমলিকা, ভাবছেন
– এই নদীটির নাম ধানসিঁড়ি কেন ? প্রতিবাদী গাছটির নাম অশ্বত্থ কেন ? দোয়েল , ফিঙে
, শালিকের ভিতর কোনটা গান গায়, কোনটি উড়ে পালায় । সে বুঝতে পারছে, ১ এর পরে ২ আসে,
৫ আসে না । সে বুঝতে পারে, বিকেল হলে রোদ নরম হয়ে আসে । আগামী সন্ধ্যার ঘণ্টাধ্বনি
সে যেন শুনতে পায় । আচ্ছা, এই যে পুকুর পারের রাস্তা , এটা কোথায় যায় ? তার কি কোন
গন্তব্য আছে ? কমলিকার ভুল হয়ে যায়, এই গাভীটি কোন ভাবেই ধবলী নয় । সব সাদা গাই, ধবলী
হতে পারে না । অর্থাৎ, কমলিকা একটা দুটো যুক্তি তর্ক করা শিখছে । সেই শৈশব থেকেই সে
শিখছে, ভুল হচ্ছে, ঠিক হচ্ছে । আবার শিখছে । কোনবার সে নিজেই বুঝতে পারে কোনটা ঠিক
। কোনবার বাড়ির বড়দের কেউ ভুলটা ধরিয়ে দেয় । ক্রমাগত, ভুল, ঠিক, ভুল , ঠিক, আন্দাজ,
শিক্ষা, প্রশ্ন, শিক্ষক, বাবা, মা, গ্রামের রাস্তা তাকে ঘিরে এক নেটওয়ার্ক তৈরি করে
। সেই নেটওয়ার্কে সে কোন বার সুখানুভূতি পায়, কোন বার বিরক্তি । তার নিজের বোধের একটি
পরিধি সে নিজেই রচনা করা । শৈশব পার হতে হতে সে বুঝতে পারে, তার পরিধি বেড়ে এদিক ওদিক
উঁকি মারে, নিজেই বিস্মিত হয়ে নিজের প্রশ্নের বাহবা দিতে থাকেন । আয়না । আয়না বড় প্রিয়
এই সময়ের । আয়নাতে নিজেকে দেখে কমলিকা আত্মহারা হয়ে যান । এই হলো বিউটি, অপার পৃথিবীর
এক আশ্চর্য বিস্ময় । ওয়াও ।
Saturday, 30 May 2020
কগনিটিভ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment