আকাশে তারা উঠে ডুবে গিয়েছে । নক্ষত্ররা মরে হিম হয়ে যায়, সেটা তার জীবৎকাল, মনুষ্যকাল সেই তুলনায় নগন্য, তবু কবিদেবতাগণ আমাদের কাছে রেখেছেন এক প্রতিযোগীতার ফাঁদ । এই যে নিজেকে ছোট করে ফেলার নাম মনুষ্যজীবন , বারবার অস্বীকার করে চলেছি । আজ আরো একজন শিল্পী, সুশান্ত সিং রাজপুত একগাছা দড়ি নিয়ে অশত্থের কাছে গেলেন । অশত্থের শাখা তাঁকে আর ফিরিয়ে দিলো না । শিল্পীর জীবনে এসেছে এক প্রতিযোগীতা । কে সেরা হবেন , আর তাকে শ্রেষ্ট শিরোপা না দিলে, তাঁকে ডিপ্রেশনে চলে যেতে হবে । এটা কি কোন রোগ । মানুষ সেই রোগে মরে যায়, নক্ষত্রের সেই রোগ নাই । ওরা , আত্মহত্যা করে না । এক কালো রাত্রির অপেক্ষায় তারা ডুবে যায় । হিম হয়ে যাবার আগে, তবু তারা জ্বলে যাবে, পুড়ে যাবে , কারো ঘর আলোকিত করার জিম্মেদারী তাদের নয় ।
ওরে ভীরু, তোমার হাতে নাই ভূবনের ভার।
হালের কাছে মাঝি আছে, করবে তরী পার ॥
তুফান যদি এসে থাকে তোমার কিসের দায়--
চেয়ে দেখো ঢেউয়ের খেলা, কাজ কি ভাবনায়?
আসুক-নাকো গহন রাতি, হোক-না অন্ধকার--
হালের কাছে মাঝি আছে, করবে তরী পার ॥
পশ্চিমে তুই তাকিয়ে দেখিস মেঘে আকাশ ডোবা,
আনন্দে তুই পুবের দিকে দেখ্-না তারার শোভা।
সাথি যারা আছে তারা তোমার আপন ব'লে
ভাবো কি তাই রক্ষা পাবে তোমারি ওই কোলে?
উঠবে রে ঝড়, দুলবে রে বুক, জাগবে হাহাকার--
হালের কাছে মাঝি আছে, করবে তরী পার ॥
আজ ও হাজারখানেক চেষ্টায় পয়ারের কাজটা লাগিয়ে দেওয়া গেলো না । আমাকে তাই আরো একটা রাত্রির অপেক্ষা করতে হবে । সাইনিং অফ, কমলিকা ।