Saturday, 30 May 2020

প্রজাপতি


কমলিকা দেখছেন নজর করে , একটি ডাল থেকে অন্য একটি ডালে হেঁটে এসে শুঁয়োপোকাটি এসে কোমর উঁচুকরে এসে দাড়ালো লাফও দিতে পারে । কিংবা সে লাফ দেবে না ।  কিংবা হতে পারে শুঁয়োপোকাটি প্রস্তুতি নিচ্ছে আগামী জীবনের ঘনঘটার । সন্ধ্যা আর বিকালের পরিবর্তনচক্রে যে কোন মুহূর্তে সে হয়ে যেতে পারে পূর্ণবয়স্ক পিউপা, যে কোন মুহূর্তেই সে আলস্য ভেঙে খসিয়ে দেবে খোলস ।  ট্রিগার করবে করবে একটি অভিনব শিল্প ভাবনা    আহা । হলুদ, সবুজ, রংবেরঙ্গী  রূপনিয়ে সে এক প্রজাপতি হয়ে বিকেলের হাল্কা হাওয়ায় মিলিয়ে দিতে পারে পাখনা ? অবাক চোখে তাকে দেখে যে কেউ বলতে পারে “ওয়াও   এইসব কথা আমাদের এই সীমিত পরিসরে জানা নেই , তবে আন্দাজ করা যায় । 

 

আসলে যে কোন পোকা , তা শুঁয়ো হোক বা কাঁচ, তার একটা জীবনচক্র আছে । তার আগামী কি, তারক্ষন বা জীবন বৃত্তের ভিতর যে টুকু অবসর সেইটুকুন আমার দেখেছি, আর যেহেতু তাকে বেশ কয়েকবার আমরা প্রজাপতি হয়ে যেতে দেখেছি, সুতরাং বলা যায় কিছু কিছু শুঁয়ো পোকা আগামীতে প্রজাপতি হয়ে উড়ে যাবে । পিরিয়ড ।

 

এই বক্তব্যে তেমন কিছু যুক্তি তর্ক প্রমান হলো না । এই সব তো জানা কথা । অবশ্যই সব আমাদের জানা । যেমন জানি সূর্য পুব দিকে ওঠে- পশ্চিমে অস্ত যায় । যেমন জানি, জন্মালে একদিন মরতে হবে । যেমন জানি কমলিকা দশম শ্রেণী পাশ করে, উচ্চ মাধ্যমিক দেবে । পূর্ণ যৌবনা হয়ে সে একদিন বিশ্ববিদ্যালয় যাবে । আমাদের ওই টুকুনই জানা, যা আমরা দেখেছি, বা শুনেছি । এই টুকুই আমাদের জানাঅজানার বৃত্ত । এ হেন উপপাদ্যে বাংলা সাহিত্যের, বাংলা কবিতার, সর্বোপরি বাংলা ভাষার ঐটুকুই আমরা জানি, যা আমরা ছুঁয়ে দেখেছি,  ক্লাসে পড়েছি । সাহিত্য আড্ডায় অবগত হয়েছি অথবা কোন কবিতা উতসবে শহস্র কবিদের গলায় গমগম মাইকের আওয়াজে ‘কবিতা’ শুনেছি সুতরাং এই যুক্তিতে আন্দাজ করাই যায়, যে কোন কবি তাই যে কোন সময় প্রজাপতি হয়ে উড়াল দিতে পারে । আবার নাও পারে ।


No comments:

Post a Comment